আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো মেদ ঝরানোর মুশকিল আসান চিরতার জল সম্পর্কে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চিরতার কোনও জুড়ি নেই। স্বাদে তেতো হলেও স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এই ভেষজ। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরানো, জ্বর কমানো থেকে শুরু করে তারুণ্য বজায় রাখা, চিরতার রয়েছে নানান গুণ। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ গ্রাম শুকনো চিরতা এক গ্লাস গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে সেই জল ভাল করে ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে খেয়ে ফেলুন। সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে।
মেদ ঝরানোর মুশকিল আসান চিরতার জল
- ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য চিরতার জল বেশ উপকারী। চিরতা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া চিরতার জল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কম করে যার ফলে মেদ কমে।
- তারুণ্য ধরে রাখতে রোজ সকালে খালি পেটে চিরতার জল খেতে পারেন। কারণ চিরতা রক্তকে পরিষ্কার করে। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ত্বক ভিতর থেকে সুস্থ রাখে। ব্রণ, ফুসকুড়ি ও র্যাশের সমস্যা দূর হয়। চামড়ার রোগ থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
- অনেকেই অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন। অ্যালার্জির জন্য শরীর ফুলে যায়, চোখ ফুলে যায়, সর্দি-কাশি-সহ আরও নানা রকম সমস্যা হয়। চিরতা এ ক্ষেত্রে উপকারী। হাঁপানী ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলেও এই জল খেতে পারেন।
- লিভার সুস্থ রাখতে চিরতার জল দারুণ উপকারী। এই জল লিভার পরিষ্কার রাখে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
- চিরতার জল শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বার করে দেয়। ভিতর থেকে শরীর পরিষ্কার রাখে। যা মেদ কমায়।
- হজমের সমস্যা থাকলে আপনি চিরতার জল খেতে পারেন। এটি বদহজম, অ্যাসিডিটি থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
- এ ছাড়াও অ্যানিমিয়ার সমস্যা কমাতেও চিরতার জল ভীষণ কার্যকর।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।