আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো শীতের দিনে কিভাবে সহবাস দীর্ঘস্থায়ী করবেনশীতের দিনে কিভাবে সহবাস দীর্ঘস্থায়ী করবেন সে সম্পর্কে । সহবাসে বা যৌন মিলনে (physical relation) পুরুষের অধিক সময় নেওয়া পুরুষত্বের মুল যোগ্যতা হিসাবে গন্য হয়। যেকোন পুরুষ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মিলনের নানাবিধ উপায় রপ্ত করে থাকে। এখানে বলে রাখা ভালো, ২৫ বছরের কম বয়সী পুরুষরা সাধারণত বেশি সময় নিয়ে যৌন মিলন (physical relation) করতে পারে না। তবে, তারা খুব অল্প সময় ব্যবধানে পুনরায় উত্তেজিত/উত্তপ্ত হতে পারে। ২৫ এর পর বয়স যত বাড়বে, মিলনে পুরুষ তত বেশি সময় নেয়। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় জাগ্রত (ইরিকশান) হওয়ার ব্যবধানও বাড়তে থাকে।
শীতের দিনে কিভাবে সহবাস দীর্ঘস্থায়ী করবেন
এছাড়া একজন নারী (female) কিংবা এক পুরুষের সঙ্গে বার বার মিলন করলে যৌন মিলনে (physical relation) বেশি সময় দেওয়া যায় এবং মিলনে বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়। কারণ, নিয়মিত মিলনে একে অপরের শরীর এবং ভাললাগা/মন্দলাগা, পছন্দসই আসনভঙ্গি, সুখ দেওয়া-নেওয়ার পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত থাকে।
পদ্ধতি ১:- চেপে/টিপে (স্কুইজ) ধরা
এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন মাষ্টার এবং জনসন নামের দুই ব্যক্তি। চেপে ধরা পদ্ধতি আসলে নাম থেকেই অনুমান করা যায় কীভাবে করতে হয়। যখন কোন পুরুষ মনে করেন তার বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন সে অথবা তার সঙ্গী লিঙ্গের ঠিক গোড়ার দিকে অন্ডকোষের কাছাকাছি লিঙ্গের নিচের দিকে যে রাস্তা দিয়ে মুত্র/বীর্য বহিঃর্গামী হয় সে শিরা/মুত্রনালী কয়েক সেকেন্ডর জন্য চেপে ধরবেন। (লিঙ্গের পাশ থেকে দুই আঙ্গুল দিয়ে ক্লিপের মত আটকে ধরতে হবে।)। চাপ ছেড়ে দেওয়ার পর ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের মত সময় বিরতি নিন। এই সময় লিঙ্গ সঞ্চালন বা কোন প্রকার যৌন (physical relation) কর্যক্রম করা থেকে বিরত থাকুন।
এ পদ্ধতির ফলে হয়তো পুরুষ কিছুক্ষনের জন্য লিঙ্গের দৃঢ়তা হারাবেন। কিন্তু ৪৫ সেকেন্ড পর পুনরায় কার্যক্রম চালু করলে লিঙ্গ আবার আগের দৃঢ়তা ফিরে পাবে।
স্কুইজ পদ্ধতি এক মিলনে আপনি যতবার খুশি ততবার করতে পারেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারিতা অভ্যাস বা প্র্যাকটিসের উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামি হবে।
পদ্ধতি ২:- সংকোচন (টেনসিং)
এ পদ্ধতি সম্পর্কে বলার আগে বেসিক ধারণাটা দরকার। মুত্রত্যাগ করার সময় পুরোপুরি নিঃস্বরনের জন্য অন্ডকোষের নিচ থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চলে যে এক প্রকার খিচুনী দিয়ে পুনরায় তলপেট দিয়ে চাপ দিতে হয়। এখানে বর্নিত সংকোচন বা টেনসিং পদ্ধতিটি অনেকটা সে রকম। তবে পার্থক্য হল এখানে খিচুনী প্রয়োগ করতে হবে, চাপ নয়।
এবার মুল বর্ণনা: মিলনকালে যখন অনুমান করবেন বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন আপনার সকল যৌন (physical relation) কর্যক্রম বন্ধ রেখে অন্ডকোষের তলা থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চল কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রচন্ড শক্তিতে খিচে ধরুন। তারপর ছেড়ে দিন। পুনরায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য খিচুনি দিন। এভাবে ২/১ বার করার পর যখন দেখবেন বীর্য স্থলনেরে চাপ/অনুভব চলে গেছে তখন পুনরায় আপনার যৌন কর্ম শুরু করুন।
সংকোচন পদ্ধতি আপনার যৌন মিলনকে (physical relation) দীর্ঘায়িত করবে। তবে, সব পদ্ধতির কার্যকারিতা অভ্যাস বা প্র্যাকটিসের উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামি হবে।
পদ্ধতি ৩:- বিরাম (টিজিং / পজ এন্ড প্লে)
এই পদ্ধতিটি বহুল ব্যবহৃত্। সাধারণত সব যুগল এই পদ্ধতির সহায়তা নিয়ে থাকেন। এই পদ্ধতিতে মিলনকালে বীর্য স্থলনের অবস্থানে পৌছালে লিঙ্গকে বাহির করে ফেলুন অথবা ভিতরে থাকলেও কার্যকলাপে বিরাম দিন। এই সময় আপনি আপনাকে অন্যমনস্ক করে রাখতে পারেন। অর্থ্যাত্ সুখ অনুভুতি থেকে মনকে ঘুরিয়ে নিন। যখন অনুভব করবেন বীর্যের চাপ কমে গিয়েছে তখন পুনরায় শুরু করতে পারেন।
বিরাম পদ্ধতির সফলতা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার অভ্যাসের উপর। প্রথমদিকে এই পদ্ধতির সফলতা না পাওয়া গেলেও, যারা সহবাস নিয়মিত তারা এই পদ্ধতির গুনাগুন জানেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকরিতা অভ্যাস বা প্র্যাকটিসের উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করবেন না।
উপরের সবক’টি সহবাস এর পদ্ধতি আপনার সঙ্গীর তৃপ্তির উদ্দেশ্যে। অনেকের ধারণা নারী (female) এ ট্রিকস্ গুলো অনুমান বা জানতে পারলে পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। আপনি আপনার স্ত্রীকে পদ্ধতিগুলো বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন সেই আপনাকে সাহায্য করছে। কারণ সে জানে আপনি বেশি সময় নেওয়া মানে তার লাভবান হওয়া।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।