আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো অতিরিক্ত জিঙ্ক(Zinc) সেবনে কি হতে পারে সে সম্পর্কে। করোনা(Corona) মহামারির পাশাপাশি এখন সর্দি ও জ্বরের(Fever) মৌসুম। আপনি হয়তো শুনেছেন, জিঙ্ক সেবন করলে সাধারণ ঠাণ্ডা(Cold) লাগা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু জিঙ্ক কতটা গ্রহণ করলে তা অতিরিক্ত হয়ে যাবে?
অতিরিক্ত জিঙ্ক সেবনে কি হতে পারে জেনে নিন
হেলথ ডাইজেস্ট ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিঙ্কে মিনারেল রয়েছে, যা আমরা মাংস ও শস্যযুক্ত খাবারে পেয়ে থাকি। কিছু খাবার(Food) রয়েছে, যেগুলোতে উচ্চমাত্রায় জিঙ্ক(Zinc) রয়েছে। শারীরিক(Physicals) বৃদ্ধি, স্বাদ-গন্ধ, এমনকি বিভিন্ন রোগ(Disease) থেকে সুরক্ষায় জিঙ্ক প্রয়োজন। সুষম(Balanced) খাবার গ্রহণ করলে সেটা এমনিতেই পাওয়া যায়। অনেকে আবার সাপ্লিমেন্ট হিসেবে মাল্টিভিটামিনস বা জিঙ্ক সেবন করে থাকেন।
তবে অতিরিক্ত জিঙ্ক সেবনকে জিঙ্ক(Zinc) পয়জনিংও বলা হয়ে থাকে, আর তা মারাত্মক হতে পারে শরীরের(Body) জন্য। দীর্ঘদিন জিঙ্ক সেবন করলে ক্রনিক জিঙ্ক পয়জনিং হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া ঠিক নয়। চিকিৎসকেরা বলেন, একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষের দিনে ১৫ মিলিগ্রামের বেশি জিঙ্ক(Zinc) সেবন করা অনুচিত। মানুষ সাধারণত হাজার গুণ মাত্রা না ছাড়ালে জিঙ্ক পয়জনিংয়ের লক্ষণ দেখতে পায় না।
অতিরিক্ত জিঙ্ক গ্রহণের ফলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা, ব্যথা(Pain), বমিভাব ও ডায়রিয়া হতে পারে; যা জিঙ্ক পয়জনিংয়ের লক্ষণ। দীর্ঘদিন জিঙ্ক(Zinc) সেবনের ফলে স্বাদ বদলে যেতে পারে।
উচ্চমাত্রায় জিঙ্ক সেবন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। এমনকি শরীরে(Body) ভালো কোলেস্টেরল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শুধু তা-ই নয়, জিঙ্ক পয়জনিংয়ের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আপনি যদি মনে করে, আপনার জিঙ্ক(Zinc) পয়জনিং হয়েছে, তবে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।