আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো ড্রাগন ফলের(Dragon fruit) উপকারিতা নিয়ে। ড্রাগন ভিনদেশী ফল হলেও এখন এ দেশেই মিলছে প্রচুর । এটি একটি সুস্বাদু(Testy) ও লোভনীয় ফল । জুলাই মাসের শেষের দিকে এটি বাজারে(Market) আসতে শুরু করে । এখনো বাজারে পাবেন ড্রাগন ফল(Dragon fruit) । বিদেশি ফল হলেও সুমিষ্ট স্বাদ ও পুষ্টিগুণের(Nutrition) জন্য বাংলাদেশে ও এখন এই ফলের চাষ হচ্ছে । ড্রাগন ফল রেড পিটায়া, স্ট্রবেরি, পিয়ারা , কনডেরেলা প্ল্যান্ট ইত্যাদি নামেও পরিচিত ।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা জেনে নিন
ড্রাগন ফলের(Dragon fruit) গাছ লতানো , মাংসল, খাজকাটা । এটা লোহা(Iron), কাঠ বা সিমেন্টের খুটি বেয়ে দিব্যি বেড়ে উঠতে পারে এটি । এর অন্তত চার রকমের ফল(Fruits) দেখা যায় । রঙের ভিন্নতা অনুযায়ী স্বাদের তারতম্য লক্ষ্য করা যায় । শাঁসের ভেতরে ছোট ছোট অজস্র কালো বীজ থাকে । ড্রাগন ফলের গাছ চিরসবুজ ক্যাকটাস । ফুল লম্বাটে সাদা এবং অনেকটা লাইট কুইনের মত । এই ফলের বিভিন্ন ধরনের ওষধি গুণাগুণ রয়েছে। এখন আমরা এর ভেষজ গুণাগুণ সম্পর্কে জানব ।
উপকারিতা:
এই ফল কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদযন্ত্র(Heart) ভালো রাখতে সাহায্য করে ।
যারা ওজন(Weight) কমাতে চান তাদের জন্য এটি ভালো উপায় ।
এর বীজে আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা সুস্থ(Healthy) থাকতে কাজে লাগে ।
লাল রঙের ফল থেকে চমৎকার প্রাকৃতিক রং পাওয়া যায় । এই রং শরবত তৈরীর কাজে ব্যবহার করা যায় ।
ড্রাগন ফলে(Dragon fruit) প্রচুর ফাইবার রয়েছে যা করোনারি হার্ট্ ডিজিজের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ড্রাগন ফল ডায়েটারি ফাইবারের ভালো উৎস। এটি রক্ত চাপ(Blood pressure) ও ওজন কমাতে সাহায্য করে ।
এই ফলের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য(Constipation) প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে ।
প্রচুর ফাইটোনিয়ট্রিয়েন্ট থাকে ড্রাগন ফলে(Dragon fruit), যা শরীরে(Body) প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জোগাতে পারে । শরীরে ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেলসের বিরুদ্ধে লড়তে এটি দারুন কার্য্কর । তাই ক্যানসার বা ত্বকের(Skin) ক্ষতি ঠেকাতে ড্রাগন ফল খেতে পারেন ।
ড্রাগন ফলে প্রচুর প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান থাকে । বিশেষ করে হাড়ের জন্য দরকারি পটাশিয়াম আর ক্যালসিয়ামের দারুণ উৎস এটি ।
ভিটামিন সির দারুন উৎস ড্রাগন ফল(Dragon fruit)। এতে রোগ(Disease) প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে । ড্রাগন ফল আয়রনের ভালো উৎস । এটি দাঁত মজবুত(Strong) করে এবং ত্বক সতেজ রাখে ।
অ্যাজমা ঠান্ডা কাশি প্রতিরোধ করে মানসিক আবসাদ দূর করতে এবং ত্বক(Skin) সুন্দর রাখতে সাহায্য করে ।